’গুরুগৃহ’ বা ’পুরোহিত’ ভিত্তিক শিক্ষার যে রেওয়াজ, তা থেকে আজ আমাদের শিক্ষা পদ্ধতির ধরণ, উপকরণ উত্তরোত্তর উন্নতির সোপান অতিক্রম করছে। সাধারণ তথা প্রথাগত শিক্ষার বৃত্ত থেকে বেরিয়ে মানুষ আজ জ্ঞান-বিজ্ঞানের চরম উৎকর্ষের প্রসাদ উপভোগ করছে। বর্ণিল প্রত্যাশা ও চাহিদার মেলবন্ধনে তাদের উড্ডয়ন কেবলই উচ্চগামীতায়। নিরন্তর এই ছুটে চলা এবং অগ্রগামিতার নির্দিষ্ট কোন রোজনামচা নেই. . . কেবলই অসীমের পথে ধাবমান। জনসংখ্যাবহুল ছোট্ট ভূখন্ডের নাম বাংলাদেশ। আমাদের সাধারণ শিক্ষাপ্রাপ্ত অধিকাংশ যুবক-যুবতীই বেকারত্বের ছোবলে ক্ষত-বিক্ষত এবং কিছুটা দিশেহারা। অথচ, উন্নত বিশ্বে এমনকি পার্শ্ববর্তী দেশগুলোতেও কারিগরি শিক্ষার হার উল্লেখ করার মতো। যেমন:
ক) ভারত ৮৭%
খ) চীন ৭৮%
গ) শ্রীলংকা ৯৬%
শিক্ষা সেক্টরে এটা একটি ইতিবাচক বিষয় যে, বর্তমান সরকার বহির্বিশ্বের সাথে সামঞ্জস্য রেখে কারিগরি শিক্ষার উপর বিশেষভাবে গুরুত্বারোপ করেছে। এখন সময়ের দাবী যে, সচেতন অভিভাবক, ছাত্র-ছাত্রীগণ যদি কারিগরি শিক্ষার উপর সবিশেষ গুরত্ব দেয়, তাহলে বাংলাদেশ দ্রুততম সময়ে মধ্যম আয়ের দেশ থেকে নিশ্চিতভাবে উন্নত দেশে পরিগণিত হতে পারবে।
আমি আন্তরিকভাবে একটি বিষয় আপনাদের সাথে শেয়ার করতে চাই যে, এন, ইসলাম ইনষ্টিটিউট অব সাইন্স এন্ড টেকনোলজির প্রতিষ্ঠাতা আলহাজ্ব মোঃ নুরুল ইসলাম সাহেব একজন স্বপ্নিক মানুষ। উনার স্বপ্নচারিতার ফসল হচ্ছে আমাদের প্রাণপ্রিয় প্রতিষ্ঠান। বাংলাদেশে রয়েছে প্রাণ-প্রাচুর্য্যপূর্ণ তরুণ-তরুনী। নিঃসন্দেহে তারা সবাই স্বাবলম্বী হতে বদ্ধপরিকর। কারিগরি শিক্ষা গ্রহণ করে তারা দেশের যোগ্য নাগরিক হয়ে নিজেদের অর্থনৈতিক মুক্তি ত্বরান্বিত করে সকলে আমাদের প্রিয় দেশকে উন্নতির চরম শিখরে নিয়ে যাবে, এটাই আমাদের সকলের প্রত্যাশা।
ইঞ্জিনিয়ার মোঃ জাফর আলী খান,
প্রিন্সিপাল
এন, ইসলাম ইনষ্টিটিউট অব সাইন্স এন্ড টেকনোলজি