সৃষ্টির সর্বশ্রেষ্টতায় বারংবার মানুষের নামই উচ্চারিত হয়। প্রাগৈতিহাসিক যুগ থেকে সভ্যতার ঊষালগ্ন এবং তার ঊৎকর্ষতায় মানুষের নানাবিধ জয়গাঁথা লিপিবদ্ধ রয়েছে। এসবের মূল নেপথ্যে কাজ করেছে মানুষের দুর্নিবার স্বপ্ন এবং তা পূরণের নিমিত্তে অহর্নিশ যুক্ত রয়েছে তাদের নিবেদিত শ্রম-ঘামের নির্যাস। একজন ব্যবসায়ী হিসাবে আমারও কিছু স্বপ্ন ছিল। সীমাহীন ব্যস্ততার মাঝে সব সময় মানুষের কল্যাণের দিকটা মনের মাঝে উঁকি দিতো। বাংলাদেশ নামক ছোট্ট একটি ভূখণ্ডে জনসংখ্যার যে বিশাল তরঙ্গ, তা আমাকে ভাবিয়ে তুলতো। সাধারণ শিক্ষায় উচ্চশিক্ষিত হয়ে বেকারত্বের যে গ্লানি তারা দুর্বিষহভাবে বয়ে বেড়াচ্ছে তা আমাকে নিয়ত আহত করতো। ব্যক্তিগত ও ব্যবসায়িক কাজে বাইরের দেশগুলো ভ্রমণকালীন দৃষ্টিগোচর হয়েছে যে, তারা সব সময় সাধারণ শিক্ষার চেয়ে সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়েছে কারিগরি শিক্ষার উপর। ফলশ্রুতিতে, জ্ঞান-বিজ্ঞান ও কারিগরি শিক্ষার মাধ্যমে আজ তারা উন্নতির চরম শিখরে পৌঁছে গেছে। প্রাণোচ্ছল, মেধাবী তরুণ-তরুণীতে ভরপুর আমাদের উর্বর এ বাংলাদেশ। প্রতিটি ছাত্র-ছাত্রী এবং অভিভাবক যদি বাস্তবতার প্রেক্ষাপটে কারিগরি শিক্ষার প্রতি আগ্রহ প্রকাশ করে তবে শীঘ্রই আমরা মধ্যম আয়ের দেশ থেকে উন্নত দেশে রুপান্তরিত হতে পারবো।
উপরোক্ত অবস্থার আলোকে, এই লক্ষ্য এবং উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে আমরা ডিইপিজেড এলাকায় শ্রীপুর বাস ষ্ট্যান্ড সংলগ্ন আশুলিয়া, সাভার, ঢাকাতে দু’টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছি। যার একটি ৩-৬ মাস মেয়াদী ”ট্রেনিং ইন্সষ্টিটিউট” এবং অন্যটি ৪ বছার মেয়াদী ”ডিপ্লোমা-ইন-ইঞ্জিনিয়ারিং পলিটেকনিক ইনষ্টিটিউট”। দু’টি প্রতিষ্টানই এন, ইসলাম ইনষ্টিটিউট অব সাইন্স এন্ড টেকনোলজি” নামে পরিচিত এবং সেগুলি বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষাবোর্ড কর্তৃক অনুমোদিত। আপনারা সকলেই আমাদের জন্য, এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠান দু’টির জন্য মহান আল্লাহর কাছে দোয়া রাখবেন যেন দেশমাতৃকার কল্যাণে প্রতিষ্ঠানগুলো এক উজ্জ্বল ভূমিকা রেখে জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে পরিচিতি লাভ করে। আপনাদের সকলের সর্বাঙ্গীণ মঙ্গল কামনা করছি।
মোঃ নুরুল ইসলাম,
চেয়ারম্যান
এন, ইসলাম ইনষ্টিটিউট অব সাইন্স এন্ড টেকনোলজি